সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ১২:০৫ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সংবাদ শিরোনাম :
দিরাইয়ে হিকমাহ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশনের শুভ উদ্বোধন আনজুমানে তাহাফফুজে দ্বীনের ক্বিরাআতের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ জমিয়তের ইতিহাসকে সমুন্নত রাখতে হলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করতে হবে: হাফিজ মাওলানা সৈয়দ তামিম আহমদ দিরাইয়ে বজ্রপাতে হতাহত ৩ ইলম অর্জন হতে হবে প্রকৃত আমলের নিয়্যাতে: শায়খুল হাদিস বিলাল বাওয়া সুনামগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে যুবক খুন দিরাইয়ে বজ্রপাতে নিহত পরিবারের পাশে এমপি প্রার্থী রশিদ মিয়া দিরাইয়ে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে হতাহত ৪ নিজ এলাকার মানুষের পাশে রয়েছেন এমপি প্রার্থী রশিদ মিয়া সম্প্রসারণবাদ, আধিপত্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী গণজোয়ার সৃষ্টি করে মজলুম গাজাবাসীদের পাশে দাঁড়ানো উম্মাহর আবশ্যিক দায়িত্ব

সুনামগঞ্জের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা 

সাইফ উল্লাহ, সুনামগঞ্জ:
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে দোকান বাকির ৭০ টাকা পাওনাকে কেন্দ্র করে গ্রামের একটি চিহিৃত চাদাঁবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী চক্রে দাড়াঁলো অস্ত্র দা ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিবাদী মানুষ মোঃ নুরুল ইসলাম (৫৫) মড়লকে। তিনি সৈয়দপুর গ্রামের শুক্কুর মাহমুদ মড়লের ছেলে। গত ৯ জানুয়ারী সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
শুক্রবার বিকেলে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে এলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। তাকে দেখতে হাজারো মানুষ জড়ো হন তার বাড়িতে। পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় গ্রামের মাঠে তার নামাজে জানাযা শেষে গ্রামের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। উল্লেখ্য সৈয়দপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল মন্নানের ছেলে মোঃ শিমুল মিয়ার দোকানে ৭০ টাকার পাওনা ছিল নিহত নুরুল ইসলামের। এরই জের ধরে সকালে গ্রামের প্রভাবশালী সুরমা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস ছত্তারের স্বজন ও আব্দুল মালেক ইয়াবা কারবারী মাদক ব্যবসায়ী গংদের অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় গত ৬ জানুয়ারী সকাল ৯টায় বিষয়টি সালিশে দেখার কথা বলে নুরুল ইসলামকে ডেকে গ্রামের মধ্যপাড়া প্রাইমারী স্কুলের রাস্তার পাশে নিয়ে এরোপাতাড়ি দাড়াঁলো অস্ত্র দিয়ে মাথা, ঘাড় ও বামহাতে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। এ সময় নুরুল ইসলামের পরিবারের আরো ১০ জন আহত হন। তাৎক্ষণিক নুরুল ইসলামকে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তার অবস্থার অবনতি হলে ঐদিনই গুরুতর ৬ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। গত ৯ জানুয়ারী নুরুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের স্বজন গাজী আবুল কালাম বাদি হয়ে গত ৭ জানুয়ারী প্রতিপক্ষ হামলাকারী সৈয়দপুর গ্রামের মৃত হাজী একরাম হোসেনের ছেলে মোঃ আব্দুল মালেক (৫০), সহোদর নাদির শাহ (৪৫), মৃত মফিজ আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫), মোঃ দুলাল মিয়া (৪২), মোঃ আব্দুল মালেকেরে ছেলে গফ্ফার মিয়া (২১), রবি মিয়া (২৬), সোহেল মিয়া (২৮). জুবায়ের ২০), নাদির শাহর ছেলে নাজমুল হোসেন (৩০), আব্দুস ছত্তারের ছেলে আলম মিয়া (৩৮), মন্টু মিয়ার ছেলে মণির মিয়া (২২), ছাদিরের ছেলে সামি মিয়া (২২), মৃত হাজী একরাম হোসেনের ছেলে ছাদির মিয়া (৪৫), আব্দুল মালেকের ছেলে লাদেন মিয়া (১৯), মৃত সাজু মিয়ার ছেলে আলীনুর (৩০)। এই ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ১০ জনকে আসামী করে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং জি আর ১১/২০ সদর।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর গ্রামের আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় চোরকারবারী, মাদক, ইয়াবার ব্যবসাসহ অনেক অপকর্মের সাথে জড়িত থানায় নিহত নুরুল ইসলাম সব সময়ই এর প্রতিবাদ করে আসছিলেন। এরই জেরে দোকন বাকির ৭০টাকা পাওনাকে কেন্দ্র করে সালিশ বৈঠকে বিষয়টি নিস্পত্তির কথা বলে ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে তাকে দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে এসময় আরো ১০ জনেক কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন।
এর আগে ২০১৮ সালে নিহত নুরুল ইসলামের আপন বড়ভাই মোঃ সুুরুজ আলীকে ও ঐ সন্ত্রাসীচক্রটি একই জায়গাতে ডেকে নিয়ে দাড়াঁলো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছিল।
এ ব্যাপরে নিহতের ভাতিজা গাজী আবুল কালাম জানান, এই সন্ত্রাসীচক্রটি সুরমা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস ছত্তারের স্বজন এবং তারা প্রভাবশালী হওয়ায় ২০১৮ সালে আমার  পিতা সুরুজ আলীকে ও একই জায়গায় ডেকে নিয়ে দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছিল। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে আরো বলেন গত ৬ জানুয়ারী আমার আপন চাচা মোঃ নুরুল ইসলামকে ও একইভাবে একই জায়গাতে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার লোকজন কিন্তু কেহ ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। কিন্তু ওদের বিরুদ্ধে মামলা করলেও কিভাবে আইনের ফাক দিয়ে বেরিয়ে আসে তা বোধগম্য নয়। তিনি ঐ সমস্ত সন্ত্রাসীদের কঠোর শাস্তি প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট দাবী জানান।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ওসি মোঃ শহীদুর রহমান জানান, মামলা দায়েরের পর পুলিশ এখন পর্যন্ত দুইজন আসামেিক গ্রেফতার করেছে এবং বাকি আসামেিদর গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com